রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০১০

বোকার ফসল পোকায় খায়

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকেরা আমনের মার খাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতি পোষাতে এ বছর ব্যাপক হারে হাউস করে আউশ ধানের চাষ করেছেন। কিন্তু অধিকাংশ আউশের খেতে খোলপচা রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণের কারণে তাঁদের ভালো ফলন পাওয়ার স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেছে। খেতে জমে থাকা জোয়ারের লোনাপানির প্রভাব, খোলপচা রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণে উৎপাদন আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাবে বলে বরগুনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের অনেক কৃষক হতাশায় দিন কাটান।ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলার পর তিন বছর ধরে আমনে মার খাওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হাজার হেক্টর জমিতে যে আশা নিয়ে এবার কৃষকেরা ব্যাপক হারে আউশের আবাদ করেছিলেন, অনাবৃষ্টি ও মাজরা পোকার আক্রমণে তা ভেস্তে গেছে।
সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া, বুড়িরচর, নলটোনা ও বদরখালী এলাকায় খালিচোখে একই দৃশ্য চোখে পড়ে।
দক্ষিণ খাজুরতলা গ্রামের জনৈক কৃষক ফারুক বলেন,
‘যহন ধান গাছের থোর বাইর অওন শুরু করে, তহনই খোলপচা রোগ অইয়্যা গাছগুলা কেমন লালচে অইয়্যা যায়। এহন বাধ্য অইয়্যা কাচা ধান কাটতে আছি, নাইলে কিছুই পামু না।’
সদর উপজেলার পশ্চিম পাঠাকাটা গ্রামের কৃষকের ধানখেত খোলপচা রোগে পুড়ে গেছে।বামনা উপজেলা সদরের নিচু এলাকার আদরের জমিতে খোলপচা রোগের আধিক্য প্রবল। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিকাটা গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দীন জানান,মাজরা পোকা আর খোলপচা রোগের আক্রমণের কারণে আমাদের স্বপ্নগুলি ঝাঝরা হয়ে গেছে। ধান নদী খাল এই তিনে বরিশাল,বাংলার আপামর মানুষের চোখের জলের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।